গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সন্ত্রাসী হামলায় আহত রাসেল মোল্লার মৃত্যু হয়েছে ।
নিহত রাসেল মোল্লা গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মৌলভিপাড়ার মিশকাত মোল্লার ছেলে। মঙ্গলবার সকালে সাড়ে ৭ টায় খুলনার একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধিন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)মনিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। নিহত রাসেলের পিতা মো. মিশকাত মোল্লা বলেন, গত ২৯ জুলাই রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে রাসেল মোল্লার সন্ত্রাসী হামলার স্বীকার হয়।শহর থেকে ঘোষেরচর কলাবাগান এলাকার বাসায় ফেরার পথে কাজি মাহামুদ ও তার সন্ত্রাসী বাহীনি নিয়ে হামলার চালায় । রাসেলের (আমার ভায়রা ) আপন খালু কাজি মাহামুদের সাথে দীর্ঘদিন জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। এর আগেও কয়েকবার মাহামুদ লোকজন নিয়ে আমার পরিবারে উপর হামলা করে । এরই জের ধরে মাহামুদ তার সন্ত্রাসী বাহীনি নিয়ে আমার ছেলে রাসেলকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে আজ তার মৃত্যু হলো । আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই। কাজি মাহামুদ ঘোষেরচর উত্তর পাড়ার কাজি নুরুল হকের ছেলে। ওই রাতে মারাত্মক আহতাবস্থায় তাকে প্রথমে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।অবস্থার অবনতি হলে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।সেখান থেকে পরে তাকে খুলনা হেলথ কেয়ার ক্লিনিকে স্থানান্তর করা হলে আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭ টার সেখানে সে চিকিৎসাধিন অবস্থায মারা যায়। এ ঘটনায় বিগত ৩০ জুলাই গোপালগঞ্জ সদর থানায় রাসেল মোল্লার মা পারভীন বেগম বাদী হয়ে মাহামুদ কাজীকে প্রধান আসামী করে এবং অজ্ঞাত আরো ৫/৬জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল মোল্লার উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় স্থানীয় প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কে মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করেছে উপজেলা সহ জেলার যুবলীগের নেতা কর্মিরা গোপালগঞ্জ সদর থানার উপপরির্দশক মো. জালাল সংবাদিকদের বলেন, এই মামলার প্রধান আসামি কাজি মাহামুদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বাকি আসামিদের অতিদ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে ।