বিএনপি’র এক নেতার স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের এক নেতার বিরুদ্ধে। মামলায় সহযোগিতা করার কথা বলে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে স্থানীয় বিএনপির এক নেতার স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে আকরাম মোল্লা (৩৫) নামের স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি গত ৩১ আগস্ট মুকসুদপুর উপজেলার কাশালিয়া ইউনিয়নে ঘটেছে বলে জানা গেছে।
ধর্ষণের শিকার ওই নারী সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) গোপালগঞ্জে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা ও তার সহযোগীকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ বিচারিক আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলেন মুকসুদপুর উপজেলার উজানী গ্রামের মতি মোল্যার ছেলে আকরাম মোল্যা (৩৫)। তিনি উজানী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। অপর আসামি একই উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের অনিল কৃষ্ণ মণ্ডলের ছেলে পরিতোষ মণ্ডল (৪৫)। পরিতোষ মণ্ডলকে ধর্ষণের সহযোগী হিসেবে আসামি করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই নারীর স্বামীকে মুকসুদপুর থানার একটি মামলায় বেশ কিছুদিন আগে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর থেকে ভুক্তভোগীকে আদালতের সব কাজে সহযোগিতা করতেন অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা আকরাম মোল্লা। গত ৩১ আগস্ট আদালতে যাওয়ার কথা বলে ওই নারীকে পার্শ্ববর্তী গ্রাম নিশ্চিন্তপুরে আরেক অভিযুক্ত পরিতোষ মণ্ডলের বাড়িতে নিয়ে যান। পরে পরিতোষ মণ্ডলের সহযোগিতায় তাকে ধর্ষণ করেন ওই আওয়ামী লীগ নেতা।
এসময় ওই নারী চিৎকার করলে অভিযুক্ত পরিতোষ তার বাসার সাউন্ডবক্সে ফুল ভলিউমে গান ছেড়ে দেন। পরে ভুক্তভোগী মুকসুদপুর থানায় দোষীদের বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে ভুক্তভোগী নিরুপায় হয়ে গোপালগঞ্জের আদালতে মামলা করেন।
এবিষয়ে জানতে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা আকরাম মোল্লা ও তার সহযোগী পরিতোষ মন্ডলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকেই অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছেন বলে জানা গেছে।
উজানি ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শ্যামল কান্তি ঘোষ বলেন, ‘বাদী এবং অভিযুক্ত একে অপরের আত্মীয়। বাদীর স্বামীকে পুলিশ গ্রেপ্তারের পর থেকে দেখতাম ওরা একসঙ্গে কোর্টে যেতো। তবে ধর্ষণের ঘটনা আমার জানা নেই।’
তিনি আরও বলেন, অভিযুক্ত আকরাম মোল্লা উজানি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হলে আমরা উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তাকে বহিষ্কার করবো।