গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার নিজামকান্দিতে বর্তমান চেয়ারম্যান হাজী নওশের আলী ও সাবেক চেয়ারম্যান মোখলেসুর রহমান মকুর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে সাবেক সেনা সদস্য আনসার চৌধুরী নিহত হয়েছ। এসময় আহত হয় কমপক্ষে আরো ২০ জন।।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়- গতকাল রবিবার নিজাম কান্দি এলাকার কাচামাল ব্যাবসায়ী সফিকের সাথে পতিপক্ষের ঝামেলাকে কেন্দ্র পরদিন আজ সোমবার সকালে বিপ্লব নামে এক যুবককে পতিপক্ষের লোকজন কুপিয়ে আহত করে পরে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে সাবেক সেনা সদস্য আনসার চৌধুরী নিহত হয় এসময় আহত কমপক্ষে আরো বিশজন।
কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফিরোজ সংবাদ সংযোগ কে বলেন, ‘মাস্টার গ্রুপ’ ও ‘হাজী গ্রুপ’ হিসাবে পরিচিত স্থানীয় দুটি গ্রুপ রয়েছে। এক গ্রুপের নেতৃত্ব দেন স্থানীয় মৃত মোখলেছুর রহমান মাস্টারের ছেলে মাহাবুব রহমান বিপ্লব ও আরেক গ্রুপের নিজামকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী নওশের আলী। আজ সকাল ৮টার দিকে এই দুই গ্রুপের লোকজনের মধ্যে কোনো বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। উভয় গ্রুপের লোকজন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে এই সংঘর্ষে জড়ায়।
এতে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হন। আহতদের গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক আনসার চৌধুরীকে মৃত ঘোষণা করেন। আহতদের মধ্যে বর্তমানে ৬ জন হাসপাতালে ভর্তি আছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
নিহত আনসার চৌধুরী মাস্টার গ্রুপের লোক বলে জানা গেছে। তার শরীরে একাধিক কোপের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছেন একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী।