গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ধর্ষণের শিকার ৯ম শ্রেণীর স্কুলছাত্রী

Dainik Shatabrasa

 রক্তস্নাত ও অশ্রুসিক্ত বাংলাদেশে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিচারের দীর্ঘসূত্রতা অভিযুক্ত আসামিদের সহজেই জামিন প্রাপ্তি ও ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ দিন দিন বেড়েই চলেছে। আর এমন একটি গর্হিত ঘটনার সাক্ষী হলো গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া বাসী।

গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন নবম শ্রেণি পড়ুয়া এক কিশোরী। ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী টুঙ্গিপাড়া উপজেলাধীন গিমাডাঙ্গা বঙ্গবন্ধু স্মৃতি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় নবম শ্রেণীর ছাত্রী।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি রবিবার সন্ধ্যা সাতটায় এ ঘটনা ঘটে। জানা যায় ধর্ষণের শিকার কিশোরী টুঙ্গিপাড়ার পাটগাতি বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এডুকেশন কেয়ার নামক একটি কোচিং সেন্টারে কোচিং করতো। দৈনন্দিন নিয়ম অনুযায়ী ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী বিকাল পাঁচটায় কোচিং থেকে বাসায় ফেরার পথে কিছু বখাটে যুবক তাকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে নির্জন স্থানে যায়। পরে সেখানে তাকে চেতনানাশক ঔষধ ব্যবহার করে অজ্ঞান করা হয়। তারপর চলে অবাধ যৌনাচার শিকার হয় গণধর্ষণের।

পরে রাত সাড়ে আটটার দিকেঅজ্ঞান অবস্থায় তার বাসার সামনে ফেলে আসা হয়। পরিবারের লোকজন তাকেটুংগীপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ধর্ষণের শিকার কিশোরীর অবস্থার অবনতি দেখে তাকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে হস্তান্তর করেন। কিন্তু অবস্থার অবনতি দেখে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতাল থেকেও ওই কিশোরীকে খুলনা মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করা হয়।

ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর পরিবার দৈনিক শতবর্ষকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, আমরা এখন অসহায়,নিরুপায়।আইনের কাছে আমাদের দাবি যেন এই গণধর্ষণের সুষ্ঠু তদন্ত ও সঠিক বিচার কার্যকর করা হয়। এদিকে ধর্ষণের বিরুদ্ধে ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে টুংগীপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। দায়ের কৃত মামলা নং ০২। টুংগীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ এএফএম নাসিম বিষয়টির সত্যতা প্রকাশ করেন এবং তিনি বলেন নৃশংস এই ধর্ষণের সাথে জড়িত সকলকে আইনের আওতায় এনে সঠিক বিচার কার্যকর করা হবে।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *