গলাকেটে ব্যাটারী চালিত ভ্যান ছিনতাইয়ের ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৪ ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ
গােপালগঞ্জে চালকের গলাকেটে ব্যাটারী চালিত ভ্যান ছিনতাইয়ের ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৪ ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । এ সময় পুলিশ ছিনতাইকৃত ভ্যানটি উদ্ধার করে । বুধবার রাতে বৃহস্পতিবার মাদারীপুর জেলার টেকেরহাট , গােপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া ও সদর উপজেলার সহ বিভিন্নস্থানে অভিযান পরিচালনা করে ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে । গ্রেফতারকৃতরা হলাে গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার মাঝবাড়ি গ্রামের মুছা কাজী ছেলে ওমর কাজী ( ২২ ) , একই গ্রামের মােশারফ দাড়িয়ার ছেলে সােহেল দাড়িয়া ( ৩২ ) , কাশিয়ানী উপজেলার কলসী ফুকরা গ্রামের শের আলীর ছেলে রবিউল ( ২৫ ) ও গােপালগঞ্জ সদর উপজেলার মেরী গােপীনাথপুর গ্রামের আঃ মান্নানের ছেলে হানিফ ( ২৮ ) ।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে । তারা বৃহস্পতিবার গােপালগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারােক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে । গােপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এএসপি সার্কেল মােহাম্মদ ছানােয়ার হােসেন জানান , ওমর কাজী তার চাচাত ভাই সােহেলের সাথে পূর্বপরিকল্পনা করে গত ১৩ জুলাই বিকেল ৪ টায় পাশের গ্রামের পূর্বপরিচিত পার্শবর্তী হিরণ গ্রামের ব্যাটারীচালিত ভ্যানচালক শরিফুল খানকে ৩ শ ‘ টাকায় ভাড়া করে গােপালগঞ্জ শহরে নিয়ে আসে । শহরের লঞ্চঘাট এলাকা থেকে ওমর একটি চাকু কিনে চাচাত ভাই সােহেলের ভাড়া বাসায় গিয়ে ভ্যান চালক শরিফুলসহ ৩ জনকে নিয়ে গাঁজার আসর বসায় । সেখানে ওমর ও সােহেল ভ্যানের তালা ভেঙ্গে ভ্যান চুরির চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় ।
এরপর ওমর ভ্যান চালক শরিফুলকে নিয়ে রাত ১০ টার দিকে গােপালগঞ্জ হতে কোটালীপাড়া বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। তাদের ভ্যান মাঝবাড়ি বাজারের কাছে পৌছলে ভ্যান চালক শরিফুকে খুন করে ভ্যান ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে ওমর তার কোমরে থাকা ছুরি দিয়ে শরিফুলের গলায় আঘাত করে । শরিফুল ভ্যান থেকে পড়ে যায় । সে মারা গেছে মনে করে ওমর ভ্যান ছিনতাই করে গােপালগঞ্জ চলে আসে । পরদিন সকালে ওমর তার চাচাত ভাই সােহেল ও রিকশাচালক হানিফের মধ্যস্থতায় রবিউলের নিকট ৮ হাজার টাকায় ছিনতাকৃত ভ্যানটি বিক্রি করে । আহত শরিফুলকে মুমুর্ষ অবস্থায় ২ জন পথচারী উদ্ধার করে প্রথমে কোটালীপাড়া ও পরে গােপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে ।
কর্তব্যরত চিকিৎসক রােগীর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করেন । শরিফুল খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন । গ্রেফতারকৃতরা গােপালগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে স্বীকারােক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে । পাশাপাশি তারা আদালতে এ ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা ।