খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আজ মঙ্গলবার সকালে মারা যাওয়া নূর আলম খানের (৪৩) শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। সকালেই তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। রাত পৌনে আটটার দিকে পরীক্ষার রিপোর্ট আসে। খুলনায় করোনায় আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনা এটাই প্রথম।
নূর আলম খুলনার রূপসা উপজেলার বাসিন্দা। তিনি ৫ দিন ধরে জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। তিনি একটি মোবাইল সার্ভিসিং কোম্পানিতে কাজ করতেন।
সকাল পৌনে নয়টার দিকে নূর আলম খানকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁর স্বজনেরা। হাসপাতালে যাওয়ার আগেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানান হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার আশরাফুর রহমান। যেহেতু তাঁর মধ্যে করোনার উপসর্গ ছিল, সে কারণে নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছিলেন ওই চিকিৎসক।
অন্যদিকে কয়েক দিন আগে খুলনা নগরের করিমনগর এলাকায় যে ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গিয়েছিল, তাঁর শরীরে আর করোনাভাইরাস নেই। আজ ওই পরিবারের তিনজন সদস্যসহ করোনায় আক্রান্ত ওই ব্যক্তির করোনা পরীক্ষা করা হয়। সেখানে কারও শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।
আজ খুলনা মেডিকেল কলেজের পিসিআর পরীক্ষাগারে দুবারে মোট ১৯১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে মাত্র একজনের শরীরে করোনা পাওয়া গেছে।
খুলনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল আহাদ বলেন, সকালে উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। অন্যদিকে খুলনা নগরের করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থ হয়ে উঠছেন।
রূপসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন আক্তার বলেন, রূপসার মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির বাড়ির আশপাশের ২০টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। এ ছাড়া তাঁর সংস্পর্শে যাঁরা গিয়েছিলেন, তাঁদের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। তাঁদেরও বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে।