কোটালীপাড়ায় বিষ প্রয়োগে হাসঁ নিধঁন

 গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বিষ প্রয়োগ করে হাসঁ নিধন করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কলাবাড়ি গ্রামে। সোমবার সকালে হাসেঁর মালিক মিনতি ওঝা বলেন – একই গ্রামের কমল বাড়ৈর ছেলে বাবলু বাড়ৈ, কৃষ্ণ বাড়ৈর ছেলে কমলেশ বাড়ৈ,নিরোধ বাড়ৈর ছেলে নিপ্রো ওরফে লাদেন বাড়ৈসহ তার আত্মীয় এবং নিকুঞ্জ বল্লোভ এর ছেলে তৃপন বল্লোভ মিলে প্রথমে আমার তিনটি হাসঁ চুরি করে খেয়ে ফেলে পরে বিষ প্রয়োগ করে আরো ১৫ টি হাসঁ মেরে ফেলে।

সরেজমিনে গেলে ত্রিপন বল্লোভ এর স্ত্রী সুকতি ওরফে লক্ষী ঘরামী সাংবাদিকদের বলেন গত রবিবার রাতে আমি তিনটি হাসঁ রান্না করে দিয়েছি। রুপা বল্লোভ বলেন লক্ষি যে তিনটি হাসঁ রান্না করেছে সে হাসঁ তিনটি পাশের বাড়ির বাবলু বাড়ৈ, লাদেন বাড়ৈ ও কমলেশ বাড়ৈ আমার কাছে দিয়েছিলো।

এব্যাপারে তৃপন বল্লোভ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন আমি বাড়ি গিয়ে ঘটনাটি জানতে পেরে বল্লাম যে এটাতো একটি জঘন্য অপরাধ অন্যের হাসঁ চুরি করে রান্না করে খাওয়া এবং বিষ দিয়ে হাসঁ মারা অপরাধ । ত্রিপন বল্লোভ( ২৮) পিং নিকুঞ্জ বল্লোভ,গ্রাম কলাবাড়ি। ত্রিপনের স্ত্রী লক্ষী ও রফে সুকতি ঘরামী বলেন হাসেঁর মালিক বিধান ওঝা,পিং ১৫ টা হাসঁ গতকাল বরিবার,সকাল সাড়ে ১০ টায় বিধান ওঝার ছেলে মানিক রেখে যায়। তাদের সন্দেহ যে বিষ দিয়ে হাসঁ আমরা মেরেছি এই জন্য মৃত হাসঁগুলো আমাদের বাড়িতে রেখে গেছে।

ববিতা কৃত্তুনীয়া বলেন গত রবিবার রাতে তাদের তিনটা হাসঁ চুরি হয় এবং সোমবার সকালে আমাদের বাড়িতে রান্না করে খায়। বিধান ওঝার স্ত্রী মিনতি ওঝা বলেন গত রবিবার রাতে খাচার থেকে প্রথমে তিনটি হাস চুরি হয়। পরেরদিন খোজাখুজি করতে গিয়ে পাশেরবাড়ি ত্রিপন শীলের বাড়িতে গেলে তখন ত্রিপনের স্ত্রী লক্ষী হাস খাওয়ার কথা স্বীকার করে। এর পর গতকাল রবিবার সকালে খাবার দিতে গিয়ে হাস ছেড়ে দিলে পর পর ৪০ টি হাসের ১৫ মারা যায়। তিনটা হাসেরঁ মধ্যে বাবুল ওঝার দুইটা এবং বিধান ওঝার একটা।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *