কোটালীপাড়ায় জমি দখল করে বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মানে অভিযোগ জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় অন্যের জমি দখল করে পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়ের সীমানা প্রচীর নির্মানের অভিযোগ ওঠেছে স্থানীয় এক আওয়ামীলীগ নেতা ও জেলা পরিষদের সদস্যের বিরুদ্ধে।
জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার পশ্চিম দেবগ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার সকালে ভুক্তভোগী জমি মালিক কোটালীপাড়ার পশ্চিম দেবগ্রামের রবীন্দ্র নাথ রায় (৭৫) গোপালগঞ্জ প্রেস ক্লাবে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন।
অভিযোগে রবীন্দ্র নাথ রায় জানান, বিগত ২০০৯ সালে কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতা ও জেলা পরিষদের সদস্য দেব দুলাল বসু পল্টু পশ্চিম দেবগ্রামে তার পিতার নামে উমাচরণ পূর্ণচন্দ্র সার্বজনীন উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।
সম্প্রতি তিনি (দেব দুলাল) ওই বিদ্যালয়ের সাথে লাগোয়া পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া আমাদের ভোগ দখলীয় ৩৭ শতাংশ জমি দখল করে ওই বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মান করেন। এরফলে আমরা সম্পত্তি থেকে বেদখল হতে চলেছি। আমরা প্রতিবাদ করলে তিনি আমাদের কথায় কোন কর্ণপাত করেননি।উল্টো তিনি তার ক্ষমতার জোরে আমাদেরকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শণ ও হয়রানি করছেন।
এছাড়া, এলাকায় শান্তি ভঙ্গের আশংকায় গত ২৩ মার্চ দেব দুলাল বিশ্বাসকে বিবাদী করে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত,গোপালগঞ্জে আমি একটি দরখাস্ত করি। এতে আদালত ১৪৪ ধারা জারি করেন। এরপরও আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে তিনি সীমানা প্রচীরের নির্মান কাজ অব্যাহত রেখেছেন।
ওই জমির আরেক অংশীদার শংকর রায় (৪০) জানান, ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে আমাদের পূর্বপুরুষের সম্পত্তি থেকে সুকৌশলে আমাদের বেদখলের অপচেষ্টা করা হচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য জমি দিতে আমাদের কোন আপত্তি নেই। আমরা চাই জমির যৌক্তিক মূল্য পরিশোধ করে দেব দুলাল বসু তার পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মান করুক।
দেব দুলাল বসু পল্টু বলেন, আমি কারো জমিতে সীমানা প্রচীর নির্মান করিনি। সামাজিকভাবে হেয় করার জন্য নির্মান কাজের উপর ১৪৪ ধারা জারিসহ আমার বিরুদ্ধে এসব করা হচ্ছে। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল