কালিয়ায় স্বামীর স্বীকৃতি না পেয়ে বিষপানে আত্মহত্যা।

নড়াইলের কালিয়া উপজেলার নড়াগাতী থানার মাউলি ইউনিয়নের উত্তর মহাজন গ্রামে স্বামীর স্বীকৃতি না পেয়ে জেসমিন খানম (২৫)নামে গৃহবধুর বিষপানে আত্মহত্যা।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়,মহাজন উত্তর পাড়া গ্রামের মৃত বজলুর রহমান মোল্লার মেয়ে জেসমিন খানম (২৫)
নিহতের বড় বোন সালমা বেগম,বলেন ৩ মাস আগে প্রেমের সম্পর্কের জেরে একই গ্রামের রিয়াজ খাঁন এর ছেলে মনির খাঁন এর সাথে জেসমিন খানম এর বিবাহ হয়। ওই বিবাহের দুইদিন পর থেকে জেসমিন এর কোনো খোজ খবর নেয় না, এমন কি মনিরের পরিবার ও বিবাহ মেনে নেয় না, সালমা বেগম আর বলেন মনিরের পরিবারের লোক যখন বিবাহ মেনে নেয় নাই, তখন আমরা গ্রামের মাতুব্বর ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, আওয়ামীলীগের নেতা হাদির,কাছে গিয়ে বিষয় টা জানানো হলে তারা ও আমাদের ডাকে আসে নাই। আজ স্বামীর স্বীকৃতি না পেয়ে আমার বোনের জীবন দিতে হলো।
নিহতের মা সুখমতি বেগম বলেন ওরা আমার মেয়ের জীবন টা শেষ করে দেছে,আমরা গরীব মানুষ বলে কারো দরজায় গিয়ে ঠাই পাইনি, তিনি আরও বলেন যে হুজুর বদরুল বিয়ে পড়াইছে সে আমার মেয়ের বিবাহের কাবিননামা টা দেয় নাই, সুখমতি বেগম আরও বলেন, মনিরদের পরিবারের লোক আমাদের টাকা ও দেওয়ার কথা বলেছিলেন,যে তোমাদের মেয়ে কে আমরা নেবো না।
বিবাহের এবিষয়ে মাউলি ইউনিয়নের কাজী বদরুল এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি প্রথমে অস্বীকার করেন,পরবর্তীতে বলেন আমি ঢাকায় ছিলাম আমার সহকারি খাজা মিয়া বিবাহটি পড়িয়েছিলেন,ঢাকা থেকে এসে আমি ওই মেয়ের আগের স্বামীর তালাকের অরজিনাল কপি চাই,তখন তারা সেটা না দিতে পারায় আমি বিবাহ রেসটি করি নাই,
এবিষয়ে নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হাদিউজ্জামান হাদি”র সাথে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি সব ঘটনা অস্বীকার করে বলেন কোন পরিবারের কেউ আমার কাছে আসে নাই।
মাউলি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রোজি হক,কে মুঠোফোনে না পেয়ে তার ছেলে ফয়সাল আহমেদ পরাগ এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন বিষয়টি আমরা শুনেছি, কিন্তু আমাদের কাছে কেউ এ ব্যাপারে কেউ আসে নাই।
লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সূত্রে জানা যায় সন্ধ্যা ৭,৪০ মিনিটের সময় জেসমিন কে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এর কিছু সয়ম পরে সে মারা গেছে।
মনিরের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে সম্ভব হয় নাই,
এবিষয়ে লোহাগড়া থানার সাব ইন্সপেক্টর  মাসুদ রানা মুঠোফোনে বলেন লাশ ময়না তদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *