আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার নির্বাচন শুরু হয়েছে। মার্কা ঘোষণার পরপরই জমে উঠেছে এখানকার নির্বাচন, মাঠে একাধিক চেয়ারম্যান প্রার্থী থাকলেও স্থানীয় লোকজন মনে করেন বর্তমান চেয়ারম্যান আবু সাঈদ মনু ঘোড়া মার্কা ও বিশ্বজিৎ পাল আনারস মার্কার মধ্যেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে, তবে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন অনেকেই।
ইতিমধ্যে পিরোজপুরে তিনটি উপজেলার নির্বাচন শেষ হয়েছে সেখানে উপস্থিতির হার কম ছিল বলে তারা বলেন,তবুও প্রতিপক্ষকে ছাড় দিতে নারাজ অপর প্রার্থী। আনারস প্রার্থী সাংবাদিকদেরকে অভিযোগ করে বলেন আমার প্রতিপক্ষ ঘোড়া মার্কার আবু সাঈদ মনু তার লোকজন দিয়ে আমার কর্মীদেরকে বিভিন্ন স্থানে হুমকি ধামকি ও মারধরের ঘটনা ঘটাচ্ছেন এবং থানা পুলিশ দিয়ে আমার কর্মীদেরকে বি,এন,পি কর্মী বলে তাদেরকে আটক করিয়েছেন বলে জানান।
গতকাল রাতে আমার আনারস মার্কার কর্মীকে মারধর করলে আমরা থানায় যাই পুলিশ তখন কোন মামলা নেয়নি, পরে একটি জিডি করতে বলে পুলিশ। বিশ্বজিৎ আরো বলেন আমি সাবেক সহ সম্পাদক কেন্দ্রীয় ছাত্র লীগ, সাবেক সদস্য উপ কমিটি কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ, সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র লীগ। বতর্মান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক উপজেলা আওয়ামীলীগ কাউখালী। আর তিনি অন্য দল থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসে আমাদের নির্বাচন থেকে হটিয়ে দিতে চাচ্ছে,আর প্রশাসন তাদেরকেই সহযোগিতা করছে।
তবে আমার বিশ্বাস কাউখালীর জনগণ আগামী ২১মে ভোটের মাধ্যমে আনারস বিজয়ী করে এ সন্ত্রাসীদের হামলার অবসান ঘটাবে। এ ব্যাপারে আবু সাঈদ মনুর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি তার প্রতি আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আমার বিজয় নিশ্চিত বলে প্রতিপক্ষ এ সব ষড়যন্ত্র করতেছে। এব্যাপারে কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবিরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন যাদেরকে আটক করা হয়েছে তারা নির্বাচন বাঞ্চালের লিফলেট বিতরণ করতে ছিলেন তারা মূলত বিএনপি কর্মী তাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মামলা আছে বলে জানান।