মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে ঢাকার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান বলে রাতে জানিয়েছেন ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাইফুর রহমান খান।
২৫ বছরের এই মৃত ঘাটাইল উপজেলার রসুলপুল ইউনিয়নের ঘোনার দেউলী গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
জেলার সিভিল সার্জন ডা. মোহম্মদ ওয়াহীদুজ্জামান জানান, এটাই এ জেলার প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত কোনো রোগীর মৃত্যু।
মৃতের স্বজনদের উদ্ধৃত করে ঘাটাইলের উপজেলা নির্বাহী অফিসার অঞ্জন কুমার সরকার জানান, ওই যুবকের দুটি কিডনি নষ্ট হয়ে যওয়ায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে চার মাস ধরে তার ডায়ালসিস করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে স্বজনরা ৪ এপ্রিল তাকে ঢাকা কিডনি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
“সেখানে তার শরীরে উপসর্গ দেখা দিলে নমুনা রেখে তাকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে করোনাভাইরাস ভাইরাস পরীক্ষার জন্য পাঠিয়ে দেন চিকিৎসক। তিনি ওই হাসপাতালে না গিয়ে ভয়ে বাড়িতে চলে আসেন। “
পরে আইইডিসিআর-ওই নমুনা পরীক্ষা করে করোনাভাইরাস পজেটিভ হওয়ায় ওয়েভ সাইটে দেওয়া হয়। তার পুর্ণাঙ্গ ঠিকানা না দিয়ে শুধু মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়েছিল। ওই মোবাইলের সূত্র ধরে ঠিকানা পেয়ে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনসহ ১১ এপ্রিল রাত ১টার দিকে টাঙ্গাইল থেকে টিম গিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নিয়ে যায়। ওই রাতেই গ্রামের ১২০টি পরিবারকে লকডাউন ঘোষণাও করা হয় বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে রসুলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমদাদ সরকার সাংবাদিকদের জানান, মরদেহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার আত্মীয়দের কাছে ফেরত দেবে না।