এ মাসেই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল বড়গুনী প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সভাপতির কোটি টাকা নিয়োগ বণিজ্যের অভিযোগ!

বড়গুনী শেখ আবু নাসের স্মৃতি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে ৮৮ জন শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে উক্ত বিদ্যালয়ের সভাপতি, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম হেদায়েত উল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রায় দেড় কোটি টাকা নিয়োগ বাণিজ্যসহ সিমাহীন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন এ মাসেই (এপ্রিল এর মধ্যে) দাখিল করা হবে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা বাগেরহাট সমাজসেবা উপপরিচালক এস,এম, রফিকুল ইসলাম। উক্ত প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের সভাপতি, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম হেদায়েত উল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রায় দেড় কোটি টাকা নিয়োগ বাণিজ্যসহ সিমাহীন অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিকার দাবীতে সম্প্রতি বিদ্যালয়টির ৭জন শিক্ষক-কর্মচারী স্বাক্ষরিত এক অভিযোগ বাগেরহাট জেলা প্রশাক বরাবরে দায়ের হয়। জেলা প্রশাসক উক্ত অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বাগেরহাট সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক এস,এম, রফিকুল ইসলামকে নিযুক্ত করেন। যার প্রেক্ষিতে গত ২২/০২/২২ ইং ওই বিদ্যলয়ে সরেজমিনে তদন্ত করেন উক্ত কর্মকর্তা। এরপর প্রায় দেড় মাস অতিবাহিত হলেও তদন্ত কার্য শেষ করতে না পারায় এখন পর্যন্ত প্রতিবেদন দাখিল হয় নাই। এবিষয়ে বাগেরহাট সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক, তদন্ত কর্মকর্তা এস,এম, রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, এ মাসেই (এপ্রিলের মাধ্যে) জেলা প্রশাসক বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
উল্লেখ্য, ওই প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মোল্লাহাট উপজেলার কদমতলা গ্রামের আসাদুজ্জামান সহ ৭জন শিক্ষক-কর্মচারী স্বাক্ষরিত অভিযোগে প্রকাশ, বাগেরহাটের মোল্লাহাটের সীমান্তবর্তী চিতলমারীর বড়গুনী সরকারি পুকুর মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বড়গুনী শেখ আবু নাসের স্মৃতি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি এস,এম হেদায়েত উল ইসলাম উক্ত প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের ৮৮ জন শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেন। উক্ত বিজ্ঞপ্তির ঊদ্ধৃতি অনুযায়ী ৪২ জন শিক্ষক, ১৪ জন ভ্যান চালক ও ৩২ জন আয়া, মোট ৮৮জন জনবল নিয়োগ দেন। একই সাথে প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো তৈরীর অযুহাতে সর্ব নি¤œ এক লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে আড়াই লক্ষ টাকা পর্যন্ত প্রত্যেকের থেকে পদানুযায়ী নেন এবং দিতে বাধ্য করেন সভাপতি এস,এম হেদায়েত উল ইসলাম। বর্তমানে তাদেরকে বাদ দিয়ে সিমাহীন অনিয়মের মাধ্যমে তার আতœীয়-স্বজনদের নিয়োগ দিচ্ছেন বলেও অভিযোগে বলা হয়েছে। এসকল অনিয়ম, দুর্নীতি ও কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার বিষয়ে যথাযথ আইনানুগ ব্যাস্থা গহনের দাবীতে অভিযোগকারীরা বলেন-আমরা দীর্ঘ কয়েক বছর এখানে শ্রম, জীবনের মূল্যবান সময় দিচ্ছি নিয়োগ পাওয়ার মাধ্যমে। এছাড়া আমাদের থেকে সভাপতি হেদায়েত উল ইসলাম যে, টাকা নিয়েছেন, তা আমরা দিয়েছি ধার-সুদে দেনার মাধ্যমে, আবার কেউ দিয়েছি সম্পদ খুইয়ে। আমরা এ জঘন্য কর্মকান্ডের দৃষ্টান্ত মূলক বিচার দাবী করি।
উক্ত বিদ্যালয়ের সভাপতি ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস,এম হেদায়েত উল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়ে সাক্ষাতকার দিতে অস্বিকৃতি প্রকাশ করেন এবং একই সাথে তিনি ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি না বলে জানান। তবে, কাগজপত্রে তিনি কিভাবে সভাপতি আছেন ? এমন প্রশ্নের কোন সদুত্তোর দিতে পারেন নাই তিনি।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *