এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আইনজীবীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে

রাজশাহীতে আইনজীবীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। রক্তস্নাত ও অশ্রুসিত বাংলাদেশে যৌন হয়রানির ও ধর্ষণের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েই চলছে। হয়রানি বা নিপীড়ন আক্রমণাত্মক আচরণের বহিঃপ্রকাশ। ইহা সাধারনত সেই সকল আচরণকে বোঝায় যার দ্বারা কেউ অস্বস্থি বা বিচলিত বোধ করে এবং তার পুনরাবৃত্তি করা হয়।আইনি বোধে যার দ্বারা কাউকে পীড়া দেওয়া বা ভীতিপ্রদর্শন করাকে বোঝানো হয়। যৌন হয়রানির শিকার ব্যক্তির নিকট যৌন হয়রানি নাছোড়বান্দা আর অনাকাঙ্ক্ষিত অসৎ দিকে অগ্রসর করে, বিশেষত কর্মক্ষেত্রে, যেখানে অস্বীকার করার পরিণাম হচ্ছে সম্ভাব্য অসুবিধা। ধর্ষণ এখোন বাংলাদেশ পরিচিত শব্দ।

তেমনই এক ধর্ষিতা নারীর গল্প উঠে এলো আবারো। রাজশাহীতে ১৭ মাস ধরে নারী আইনজীবীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী ওই নারী (২৭) এই অভিযোগ করেছেন। পুলিশ অভিযুক্ত চিকিৎসককে আটক করেছে। হয়রানির শিকার ঐ আইনজীবী তার ধর্ষণের বর্ননা দিয়েছে। চিকিৎসকের নাম সাখাওয়াত হোসেন রানা (৪০)। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ। রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ডা. রানার স্ত্রী-সন্তান রয়েছে। তবে ওই নারী অবিবাহিত। তার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায়।

আর চিকিৎসক রানার গ্রামের বাড়ি নওগাঁর পোরশা উপজেলায়। রাজশাহী নগরীর টিকাপাড়া এলাকায় তিনি ভাড়া থাকেন। ওই নারী বান্ধবীর সঙ্গে ভাড়া থাকেন নগরীর কোর্ট এলাকায়। তিনি রাজশাহী জেলা জজ আদালতে শিক্ষানবীশ আইনজীবী হিসেবে প্র্যাকটিস করেন। ওই নারীর দাবি, প্রায় দেড় বছর আগে ডা. রানার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। কিছুদিনের মধ্যেই ডা. রানা তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরপর একদিন কৌশলে তাকে ধর্ষণ করেন এবং সেই ভিডিওচিত্র ধারণ করে রাখেন। তারপর সেই ভিডিওচিত্র ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ১৭ মাস ধরে তাকে ধর্ষণ করা হচ্ছিল। ওই নারীর বরাত দিয়ে আরএমপির মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, শনিবার (২৫ জুলাই) সকালে ডা. রানা ওই নারীর ভাড়া বাসায় গিয়ে তার সঙ্গে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চান।

এ সময় ওই নারীর বান্ধবী পুলিশের জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে কল দেন। এছাড়া তিনি আশপাশের লোকজনকে বিষয়টি জানান। তখন এলাকাবাসী ওই চিকিৎসককে আটকে রাখেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে রাজপাড়া থানায় নিয়ে আসে। ভুক্তভোগী ওই নারীকেও থানায় আনা হয়। রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন খান বলেন, কিছু ভিডিওচিত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তবে চিকিৎসক দাবি করছেন, জোর করে নয়। প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তবে এ ঘটনায় থানায় ধর্ষণের মামলা হবে। ওই নারী বাদী হয়ে মামলাটি দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মামলা দায়েরের পর অভিযুক্ত চিকিৎসককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *