ঈশ্বরগঞ্জে বড় বোন ছোট বোনকে ঘুমন্ত অবস্থায় হত‍্যা করল কুপিয়ে!

ঈশ্বরগঞ্জে

 ঈশ্বরগঞ্জে বড় বোন ছোট বোনকে ঘুমন্ত অবস্থায় হত্যা করল কুপিয়ে । ঘঠনাটি ঘঠেছে ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জে তেরো বছর বয়সের বড় বোন পৌনে তিন বছর বয়সের ছোট বোনকে ঘুমন্ত অবস্থায় বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে।

খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ এবং হত্যায় অভিযুক্ত বোনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল বেলায় ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের চর হোসেনপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটলে লাশ পাওয়া যায় বিকেলে চারটার দিকে বাড়ির পেছনে টয়লেটের ট্যাংকির ভিতর থেকে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার ওই গ্রামের মোড়লবাড়ির বাসিন্দা শহীদুল্লাহ পেশায় একজন ইজিবাইক চালক। তার চার মেয়ে এক ছেলে।

বড় দুই মেয়ে ও এক ছেলে বাইরে থাকে। বাড়িতে থাকে দুই মেয়ে। এদের মধ্যে লাকির বয়স ১৩ ও ছোট বোন জান্নাতুল ফেরদৌসের বয়স প্রায় ৩। ঘটনার সময় দুপুর একটার দিকে ছোট মেয়েকে ঘুম পাড়িয়ে তাদের মা পাশের বাড়িতে যান। বাবা আগে থেকেই পেশাগত কাজে বাইরে ছিলেন। বিকাল চারটার দিকে তারা দুজন বাড়ি ফিরে দুই মেয়ের মধ্যে কাউকে দেখতে পাননি।

তারা সন্তানদের খোঁজখুঁজি করতে থাকেন। এক পর্যায়ে বড় মেয়েটিকে প্রতিবেশীর বাড়িতে পেয়ে তাকে ছোট বোনের কথা জিজ্ঞেস করেন। এক পর্যায়ে ঘরের পাশে একটি প্লাস্টিকের বালতির মধ্যে রক্ত দেখতে পাওয়া যায়। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে বাড়ির পেছনে টয়লেটের ট্যাংকির ভিতরে ছোট বোনের লাশ দেখিয়ে দেয় লাকি।

সেখান থেকে পরিবারের লোকজন লাশ উদ্ধার করে বাড়ির উঠানে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার ও অভিযুক্ত বড়বোনকে থানায় নিয়ে যায়। পরিবারের লোকজন জানায়, জান্নাাতুল জন্মের পর থেকে লাকি কিছুটা রাগান্বিত ছিল।

মা-বাবা জান্তাতকে কাছে রাখা ও আদর সে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেনি। মাঝে মধ্যে সে (লাকি) রাগও করতো। ধারনা করা হচ্ছে লাকির আদরে ভাগ বসানোয় মনে করে এবং সে থাকলে তার আদর কমে যাবে এতে রাগান্বিত হয়ে এ লোহমহর্ষক এই হত্যা কাণ্ডটি ঘটিয়েছে। ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল কাদের মিয়া বলেন, নিহত শিশুর লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য আগামীকাল শুক্রবার মরদেহ মর্গে পাঠানো হবে। বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *