রাজধানী সাভার উপজেলার আশুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন মাদবরের (৫০) বিরুদ্ধে আদালতে ধর্ষণ মামলা করেছেন এক ভুক্তভোগী তরুণী। তাঁর অভিযোগ, একজনের কাছে পাওনা পাঁচ লাখ টাকা উদ্ধারের জন্য বিচার চাইতে গিয়েছিলেন চেয়ারম্যানের কাছে। সেখানে গিয়ে উল্টো চেয়ারম্যানের হাতে ধর্ষণের শিকার হন তিনি। এ ঘটনায় রোববার অভিযুক্ত আশুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যানসহ তিন জনের বিরুদ্ধে বাদি হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী তরুণী। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে তদন্তের পাশাপাশি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- আশুলিয়ার টঙ্গাবাড়ি এলাকার মৃত ওহাব মাদবরের ছেলে ও আশুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহাবুদ্দিন মাদবর (৫০), তার শ্যালক একই এলাকার মৃত হালিম মাদবরের ছেলে মো. আলমগীর (৩৮) ও চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারী আশুলিয়ার আবুল শিকদারের ছেলে সবুজ শিকদার (৩৫)। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আশুলিয়া বাজারের এক ব্যবসায়ীর কাছে পাঁচ লাখ টাকা পাওনা ছিল ওই তরুণীর। অনেক দিন হয়ে গেলেও সেই টাকা ফেরত পাচ্ছিলেন না। এঘটনায় গত ২২ সেপ্টেম্বর এক আত্মীয়কে নিয়ে বিচার চাইতে ওই তরুণী চেয়ারম্যানের কাছে ইউনিয়ন পরিষদে যান।

সেখানে চেয়ারম্যানকে না পেয়ে তাঁর বাড়িতে যান তাঁরা। অভিযোগ শুনে চেয়ারম্যান ওই নারীকে পাওনা টাকা ফেরত পেতে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন। পরে তাঁরা চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে বের হয়ে বাড়িতে যাওয়ার সময় চেয়ারম্যানের শ্যালক আলমগীর ও পিএস সবুজ সিকদার তাঁদের পথরোধ করে বলেন, ‘তোমাদেরকে সন্দেহজনক মনে হচ্ছে।’ পরে তাদের দু’জনকে জোর করে ইউনিয়ন পরিষদের দুটি কক্ষে নিয়ে দুইজনকে আলাদা করে আটকে রাখে। পরে সেই কক্ষে ঢুকে চেয়ারম্যান জোরপূর্বক ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে। এছাড়াও চেয়ারম্যান ওই কক্ষ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর তার শ্যালক আলমগীর ও পিএস সবুজও ওই তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।

এ ঘটনার পর বিভিন্ন হুমকি ধমকি দিয়ে ধর্ষণের বিষয়টি গোপন রাখার শর্তে তরুণী ও তার আত্মীয়কে ছেড়ে দেয় অভিযুক্তরা। এছাড়াও মামলায় অভিযোগ করা হয়, ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর ভুক্তভোগী তরুণী আশুলিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ তার মামলা রেকর্ড করেনি। বাধ্য হয়ে তিনি আদালতের আশ্রয় নিয়েছেন। এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউল ইসলাম বলেন, থানায় এমন কোনো অভিযোগ দেয়া হয়েছিল কিনা তা জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহাবুদ্দিন মাদবরের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ বেশ কয়েকটি মালা রয়েছে। এছাড়া বিতর্কিত ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনেও মামলা রয়েছে। তবে বিভিন্ন সময়ে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হলেও চাপের মুখে সাংবাদিকদের এসব ব্যপারে সংবাদ প্রকাশ না করতে হুমকি ধামকি ও বিভিন্ন ব্যক্তির মাধ্যমে চাপ প্রয়োগের চেষ্টা করেন।

İstifadəçi rəyləri Pin Up casino seyrək göstərilən xidmətlərin keyfiyyətini təsdiqləyir. azərbaycan pinup Qeydiyyat zamanı valyutanı seçə bilərsiniz, bundan sonra onu dəyişdirmək mümkün xeyr. pin-up Bunun üçün rəsmi internet saytına iç olub qeydiyyatdan keçməlisiniz. pin up Además, es de muy alto impacto y de una sadeed inigualable. ola bilərsiniz