আজ থেকে খুলেছে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাঠদান সম্পন্ন।
দীর্ঘ ১৭ মাস পর আজ থেকে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলেছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাঠদান সম্পন্ন হয়েছে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। সারা দেশের মত বরিশালেও এ আয়োজনে কমতি ছিলনা।
গত কাল সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেনিকক্ষ , লাইব্রেরি, স্কুল গ্রাউন্ড সব পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে জীবাণু নাশক স্প্রে করা হয়। বেলুন ,ফেস্টূন ও রং বেরংয়ের পতাকা দিয়ে সাজানো হয় অনেক স্কুল। স্কুল কলেজের পাঠদানের রুটিন তৈরি করা হয়েছে নির্দিষ্ট সংখ্যক ছাত্র ছাত্রী নিয়ে এমন ভাবে যেন সবাই উপস্থিত হতে পারে। সপ্তাহে একদিন করে স্বল্প পরিসরে প্রত্যেক ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে।
সকাল থেকেই শুরু হয় রাস্তাঘাটে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের ভীড়। রাস্তায় এক পর্যায়ে জ্যাম বাঁধে। অভিভাবকদের দেখা যায় শিশুদের নিয়ে স্কুলে যেতে। প্রত্যেক স্কুল কলেজে স্যানিটাইজার, হ্যান্ড ওয়াস ও পানির ব্যবস্থা ছিল। প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে জীবাণুনাশক স্প্রে করে স্কুল কলেজের ভীতরে প্রবেশ করানো হয়। প্রত্যেক বেঞ্চে দূরত্ব বজায় রেখে এক জন থেকে সর্বোচ্চ দুইজন করে বসানো হয়েছিল। কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক, প্রধান শিক্ষকের সমন্বয়ে সাতটি টিম গঠন করা হয় যারা বিভিন্ন পর্যায়ের প্রশাসনিক , শিক্ষা কর্মকর্তাদের সাথে বরিশালের সকল স্কুল কলেজগুলোর পরিদর্শন করেন, শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন, অভিভাবকদের সাথে কথা বলেন এবং খোঁজ খবর নেন।
অভিভাবকরা সরকারের স্কুল কলেজ খুলে দেয়ার এ সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করেন। কোনো স্কুলের শিশুরা পরিদর্শনে আগত কর্মকর্তাদের গান, কবিতা আবৃত্তি করে শোনায়। ছবিতে দেখা যাচ্ছে বরিশাল সিস্টারডে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নুজহাত মাবছুরাহ্ নাবিহা (২য় শ্রেনি) কবিতা আবৃত্তি করে শোনাচ্ছে। স্কুল কলেজ পরিদর্শনে বিভাগীয় কমিশনার মোঃ সাইফুল ইসলাম বাদল, জেলা প্রশাসক মোঃ জসীমউদ্দীন হায়দার,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মহোদয়, বিভাগীয় উপ- পরিচালক ( মাধ্যমিক), বিভাগীয় উপ- পরিচালক ( প্রাথমিক), জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, সহঃ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, সকল সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মহোদয় উপস্থিত ছিলেন।