দীর্ঘ ৬ মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর আগামী ২১ সেপ্টেম্বর খুলে দেয়া হচ্ছে আগ্রার তাজমহল। ভারতজুড়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করা শুরুর দিকে দেশব্যাপী লকডাউন কার্যকর করার আগে গেল ১৭ মার্চ মুঘল স্থাপত্যশৈলীর এই নিদর্শন দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়। গত শতকের ৬০ এর দশকে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় একবার বন্ধ রাখা হয়েছিল তাজমহল। এরপর এবার করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে তাজমহলের দরজা বন্ধ করা হয়েছে। এদিকে, ১ সেপ্টেম্বর আগ্রার অন্যান্য প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো খুলে দেয়া হয়েছে।
কিন্তু উচ্চমাত্রায় করোনা সংক্রমিত এলাকার কাছাকাছি হওয়ায় এখনও তাজমহল ও লাল কেল্লা বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে, ২১ সেপ্টেম্বর খুলে দেয়া হলেও তাজমহলে দর্শনার্থীর সংখ্যা সীমিত রাখা হবে। প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৫ হাজার দর্শনার্থী এই স্থাপত্যকর্ম পরিদর্শন করতে পারবেন। অবশ্যই তাদের মাস্ক পড়তে হবে। কোন টিকিট কাউন্টার থাকবে না। অনলাইনে টিকিট সংগ্রহ করতে হবে। এসব বিধি-বিধানের কথা জানিয়েছেন ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগের আগ্রা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রত্নতত্ববিদ বসন্ত স্বর্ণকার। তিনি জানান, তাজমহল পরিদর্শনে করোনার সংক্রমণ রোধে কেন্দ্র সরকারের নেয়া সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। যেমন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, হাত স্যানিটাইজ করার মতো উপায় অবলম্বন করতে হবে।
খুলে দেয়ার পর তাজমহল বন্ধ থাকবে শুক্র ও রোববার আর আগ্রা দুর্গ বন্ধ থাকবে রোববার। স্বাভাবিক সময়ে তাজমহলের সৌন্দর্য উপভোগে প্রতিবছর ২০ থেকে ৩০ লাখ পর্যটক আসেন ভারতের আগ্রায়, এর মধ্যে ২ লাখের বেশি বিদেশী। ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই পর্যটনকেন্দ্রে সবচেয়ে বেশি পর্যটক আসে ঠাণ্ডা মৌসুমে অক্টোবর, নভেম্বর ও ফেব্রুয়ারি মাসে। বায়ূ দূষণকারী যানবাহন তাজমহলের কাছাকাছি আসা নিষিদ্ধ। তাই, পর্যটকদের গাড়ি রাখার স্থান থেকে পায়ে হেঁটে অথবা বৈদ্যুতিক বাসে করে তাজমহলে আসতে হয়।